FreelancerFly সাইটে কাজ করে উপার্জন
🔗Freelancing Website Link:
স্টুডেন্ট বা গৃহিণী হলে, ঘরে বসেই সময় কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন।আসুন তবে আজ জেনে নিই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় এবং কি করলে বা কোথায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাবেন সে ব্যাপারে।
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি ক্যারিয়ার বা প্রফেশন যেখানে আপনি ঘরে বসে মোবাইল বা পিসি ব্যবহার করে আয় করতে পারেন। এটি মূলত অনলাইন সেক্টরে কাজ করা হয়ে থাকে, যেখানে আপনি অন্যের কাজ বা নিজের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ রয়েছে, তাই পিসি বা ল্যাপটপ না থাকলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই।
freelancing করতে কি কি লাগে?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে শুরুতে বলবো মোবাইল লাগবে। পাশাপাশি লাগবে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো যেকোনো একটি সেক্টরে নিজের স্কিল। মনে রাখবেন স্কিল ছাড়া বা কাজ জানা ছাড়া আপনি কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা কামাতে পারবেন না। স্কিলের পাশাপাশি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে তা জেনে নিন: FreelancerFly সাইটে কাজ করে লক্ষ টাকা উপার্জন করুন
১. স্কিল ডেভলপ করুন
বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কাজের কোনো অভাব নেই। সুতরাং যেকোনো একটি সেক্টর ধরে আপনাকে আপনার স্কিল ডেভলপ করে নিতে হবে। মনে রাখবেন এই স্কিল ডেভলপ করতে গিয়ে যদি আপনি চান সেক্ষেত্রে আপনাকে কোনো টাকাই খরচ করতে হবে না। মোটামুটি ইউটিউবে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স করেই আপনি বেসিক শিখে নিতে পারবেন। পরে না হয় টাকা আর্ন করে তা দিয়েই প্রিমিয়াম কোর্স কিনে নেবেন৷
২. পোর্টফোলিও তৈরি করুন
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করুন কিংবা পিসি দিয়ে, কাজ পেতে হলে আপনার পোর্টফোলিও থাকতেই হবে৷ পোর্টফোলিও হলো আপনি কতটুকু কাজ পারেন, কি কি কাজ পারেন, আগে কাজ করেছেন কিনা তার প্রমাণ। আর পোর্টফোলিও তৈরি করতে হলে আপনাকে আগে যে কোনো না কোনো ক্লায়েন্টের কাজ করতেই হবে তা কিন্তু নয়। যখন কাজ শিখবেন তখনই প্র্যাকটিস করতে করতে নিজের কাজের পোর্টফোলিও রেডি করে ফেলবেন। FreelancerFly সাইটে কাজ করে লক্ষ টাকা উপার্জন করুন
৩. অনলাইনে নিজের কমিউনিটি | FreelancerFly সাইটে কাজ করে উপার্জন
শুনতে কঠিন মনে হলেও কাজটা কিন্তু অতটা কঠিন নয়। আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আছেন, কাজ পারেন সেটা অডিয়েন্স না জানলে কখনোই আপনাকে নতুন কোনো কাজের অফার দিতে পারবে না। কারণ তারা তো জানেই না আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন বা অমুক সার্ভিস দেন। সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ থাকুন। আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং করেন তা জানান। আপনি কি কি কাজ পারেন তা শো করুন।
৪. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন
নেটওয়ার্কিং হলো দ্রুত কাজ পাওয়ার সবচেয়ে ইজি প্রসেস। আর মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা পিসি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে এই নেটওয়ার্কিং আপনার করতেই হবে। এক্ষেত্রে আপনার যে টার্গেটেড ক্লায়েন্ট তাদের সাথে কানেক্টেড থাকুন। তাদের কাজে লাগে এমন কন্টেন্ট নিয়মিত নিজের ওয়ালে আপলোড করুন। তাদের প্রজেক্টে যে আপনিও ভ্যালু দিতে পারবেন তা প্রমাণ করুন। এতে করে কাজ পেতে কোনো সমস্যা হবে না।
৫. মার্কেট এবং অন্যান্য
সবশেষে বলবো ফ্রিল্যান্সিং করার মতো যদি ভালো পরিবেশ বা নেট না থাকে তা আগে নিশ্চিত করে নিন। অন্তত হ্যাং করে না এবং ভালোমতো চলে এমন ফোন চুজ করুন। পাশাপাশি কাজ করার সময় যেনো নেটওয়ার্কের কেনো সমস্যায় না পড়েন তা নিশ্চিত করুন। কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে ভালো ফোন এবং স্পিড আছে এমন নেটওয়ার্ক থাকাটা জরুরি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কেনো করবেন?
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক সুবিধা। যেমন ধরুন ফ্লেক্সিবিলিটি। আপনি ঘরে বসে যেকোনো পরিস্থিতিতেই কাজ করতে পারবেন এবং পেমেন্ট নিতে পারবেন। তাছাড়া পিসি কিংবা ল্যাপটপের চাইতে ফোনের সিকিউরিটি অনেক বেশি স্ট্রং। সুতরাং সিকিউরিটি নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। যারা সবসময় মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের কাছে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাটা অনেক সহজ এবং মজার মনে হবে।
Read More : How to Earn Money Online Without Experience
মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ|FreelancerFly সাইটে কাজ করে উপার্জন
এবার চলুন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমনকিছু কাজ সম্পর্কে আলোচনা করি। এসব কাজ আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। পাশাপাশি কাজগুলি করা বেশ সহজ।
১. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্ট: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্টের কাজগুলি মোবাইল দিয়ে করা যায়। তাছাড়া বর্তমানে এই ধরণের কাজের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আর পেছনে মূল কারণ হলো বর্তমানে অনলাইন বিজনেসের জনপ্রিয়তা। যারা এই ধরণের কাজ করতে চান তাদের ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার এবং লিঙ্কডইনের মতো প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। জানতে হবে মার্কেটিং৷
২. ব্লগিং: ব্লগিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স কাজে পরিণত হয়েছে। যারা লেখালেখি পারেন তারা এই প্রফেশনকে বেছে নিতে পারেন। তাছাড়া নিজে লিখে সেসব লেখা যেখানে আপলোড করবেন সেটিও আপনি ফোনের সাহায্যে ব্যবহার করতে পারবেন৷ মূলত যারা ব্লগিং করেন তারা নিজেদের লেখা আপলোড করেন ব্লগস্পটে। এই প্ল্যাটফর্মটি ফোনেই ব্যবহার করার সুযোগ আছে। সাইটে ভিজিটর আসলে তাদের এড দেখিয়ে আর্ন করার সুযোগ থাকছে৷
৩. কপি রাইটিং: কপি রাইটিং হলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং পেইজের এড কপি লেখা। কাজটা করতে আপনার ব্রেইনকে ঠিকমতো ইউজ করতে হবে। যারা লেখালেখি ভালোবাসেন এই কাজটা তাদের জন্যে অনেক ইজি হবে। পাশাপাশি প্রুফরিডিংয়েরও সার্ভিস দিতে পারেন। অনেকেই অন্যান্য রাইটারারের লেখা বা ওয়েব পোস্ট প্রুফ রিড করিয়ে নেন। আর কাজটা কারতে আপনাকে কোনো পিসি কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে না। আপনি ফোনের সাহায্যেই কাজটা করতে পারবেন।
৪. গ্রাফিক ডিজাইন: কি? কখনো কি ভেবেছেন মোবাইল ফোনের সাহায্যেও গ্রাফিক ডিজাইন করা যায়? হ্যাঁ! যায়। আপনি চাইলে হাতের কাছে থাকা ফোনের সাহায্যে গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফটো এডিটিংয়ে জন্য ইউজ করতে পারেন Adobe Lightroom, Snapseed বা VSCO অ্যাপ এবং গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ইউজ করতে পারেন ক্যানভা অ্যাপ।
৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট: ভার্চুয়ালি কোনো ব্যাক্তিকে তার বিভিন্ন কাজে হেল্প করেও আপনি আর্ন করতে পারেন। কাজটি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজেরই একটি অংশ। আর এই কাজ করতে Gmail, Google ক্যালেন্ডার এবং Trello-এর মতো প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপের ব্যবহার জানতে হবে। কিভাবে বিভিন্ন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডিল শিডিউল করতে হয় তা জানতে হবে।
৬. মাইক্রোটাস্ক: মাইক্রোটাস্ক হলো ডেটা এন্ট্রি, অ্যাপ টেস্টিং বা অনলাইন রিসার্চের মতো বিভিন্ন কাজ করা। এসব কাজ অনেক ইজি এবং মোবাইল দিয়েই করা যাবে। এসব কাজ পেতে আপনি freelancerfly প্ল্যাটফর্মে যোগ দিতে পারেন। সেখানে এই ধরণের কাজ করার প্রচুর সুযোগ আছে। তাছাড়া freelancerfly হলো একটি বাংলাদেশী প্ল্যাটফর্ম। তাই কমফোর্ট জোনে কাজ করে অল্প টাকা হলেই তা বিকাশের সাহায্যে কালেক্ট করে নিতে কোনো সমস্যাই হবে না।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার উপায়
ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, মার্কেটিং, রাইটিং সহ যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার মতো কাজ খুঁজছেন তারা freelancerfly ইউজ করতে পারেন। freelancerfly ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের মতোই কাজকরে থাকে। মূলত বাংলাদেশী ক্লায়েন্ট এবং বায়ারদের ফোকাসে রেখে এই প্ল্যাটফর্মের সৃষ্টি। আসুন তবে freelancerfly কেনো ব্যবহার করবেন সে-সম্পর্কে জানি:
১. প্রথমত freelancerfly প্ল্যাটফর্মে কাজের কোনো অভাব নেই। রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, কাস্টমার কেয়ারসহ বিভিন্ন সেক্টরে এখানে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করা হয়।
“FreelancerFly ওয়েবসাইটে কাজ করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করুন
২. নতুন হিসেবে freelancerfly ইউজ করতে গিয়ে আপনাকে এতোটুকু সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা নতুন কিংবা পুরাতনদের জন্যে একেবারে পানির মতো সহজ।
৩. freelancerfly সারা বিশ্ব থেকে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের কানেক্ট করে। যার কারণে কাজ পাওয়ার সুযোগও অনেকটা বেড়ে যায়। তাছাড়া ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে নিজের স্কিলকেও ঝালিয়ে নেওয়া যায়।
৪. FreelancerFly ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টদের কার্যকরভাবে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট টুলসেরও ব্যবস্থা রেখেছে। যার কারণে কাজ করতে গিয়ে আপনাকে ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে ভাবতে হবে না।
৫. যারা FreelancerFly প্ল্যাটফর্মে কাজ করবেন তাদের পেমেন্টের সিকিউরিটি নিয়ে এতটুকু ভাবতে হবে না। আপনার পেমেন্ট আপনি সময়মতো পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি যদি আপনি কাউকে হায়ারও করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার পেমেন্ট ডিটেইলসের সিকিউরিটি নিয়েও আপনাকে ভাবতে হবে না।
৬. মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে যেমন কাজ জানতে হবে ঠিক তেমনই ভালো একটি প্রোফাইলও সাজিয়ে নিতে হবে। FreelancerFly প্ল্যাটফর্ম আপনাকে ইজিলি বেস্ট কাস্টমাইজড প্রোফাইল সেট আপ করে দেবে।
৭. FreelancerFly এ কিন্তু কাজের রেটিং করার সুযোগ থাকছে। আপনার কাজ বায়ারের কেমন লাগলো তা প্রকাশ পাবে রেটিংয়ের সাহায্যে। আপনার কাজের রেটিং যদি ভালো হয় পরে দেখা যাবে সে রেটিংয়ের সূত্র ধরেই আরেকজন বায়ার আপনাকে কাজ দিতে চাইছে।
ইতি কথা
সুতরাং যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তারা উপরে উল্লেখিত কাজগুলি শিখে পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এরপর FreelancerFly প্ল্যাটফর্মে নিজের একাউন্ট তৈরি করুন। যে কাজ পেয়েছেন সে কাজে সর্বোচ্চ ভ্যালু দিন।
