কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে Truelancer ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম

📣নিচের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের লিংকে ক্লিক করলে প্রথমে হয়তোবা কোন অ্যাড আসতে পারে Ads আসলে Ads টি কেটে আবার লিংকে ক্লিক করলে সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটিতে চলে যেতে পারবেন 👇

Truelancer.com

বর্তমান যুগে, ইন্টারনেটের প্রচলন আমাদের কাজের সুযোগগুলোকে অনেক বেশি বিস্তৃত করেছে। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার দক্ষতাগুলি ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে পারেন এবং সেই কাজগুলো করার জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপার হলো, মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি Truelancer প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন।

Truelancer কি?

Truelancer একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে লোকেরা তাদের কাজের জন্য দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে নিতে পারেন। এখানে বিভিন্ন ধরণের কাজ পাওয়া যায়, যেমন: ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং আরও অনেক কিছু। এটি Fiverr, Upwork, এবং Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর মতোই কাজ করে, তবে Truelancer-এর বিশেষত্ব হলো, এখানে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি।

Truelancer-এর আরেকটি সুবিধা হলো, এখানে আপনি খুব সহজেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কাজ শুরু করতে পারেন। যাদের অভিজ্ঞতা নেই, তারাও সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন, এবং ধীরে ধীরে নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ধাপগুলো

Truelancer এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ধাপগুলো:

১. সঠিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন

Truelancer একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে Truelancer এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.truelancer.com) যেতে হবে এবং একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে গেলে আপনাকে আপনার ইমেইল, নাম, এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইন আপ করতে হবে। এছাড়াও, Google বা Facebook একাউন্টের মাধ্যমে দ্রুত সাইন আপ করার সুযোগও রয়েছে।

২. প্রোফাইল সেট আপ করুন

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পরপরই, আপনাকে একটি পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। প্রোফাইল সেটআপের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • প্রোফাইল পিকচার আপলোড করুন: একটি পেশাদার ছবি আপলোড করুন যা আপনার পরিচয় বহন করবে। একটি পরিচ্ছন্ন ও স্পষ্ট ছবি আপনার পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করতে সাহায্য করবে।
  • প্রফেশনাল টাইটেল দিন: আপনার প্রোফাইলে এমন একটি টাইটেল ব্যবহার করুন যা আপনার দক্ষতা বা কাজের ক্ষেত্রকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ডেটা এন্ট্রি করতে আগ্রহী হন, তবে “Expert Data Entry Specialist” এর মতো কিছু ব্যবহার করতে পারেন।
  • কর্মক্ষেত্রের বিবরণ: আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাগুলো বর্ণনা করে একটি বিস্তারিত বায়ো লিখ

ুন। যদি আপনার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকে, তবুও কীভাবে আপনি কাজ করতে আগ্রহী এবং শিখতে ইচ্ছুক তা উল্লেখ করুন। সৎ এবং আকর্ষণীয়ভাবে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন, যাতে ক্লায়েন্টরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে।

৩. স্কিলগুলো নির্বাচন করুন

Truelancer এ অনেক ধরণের কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ না হন, তবে শুরুতে সহজ স্কিল যেমন ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট রাইটিং, বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনাকে নতুন স্কিল শেখার দিকে মনোযোগ দিতে হবে, কারণ যত বেশি স্কিল শিখবেন, তত বেশি কাজ পাবার সম্ভাবনা বাড়বে। মোবাইল ফোনে অনেক অ্যাপ এবং অনলাইন কোর্স রয়েছে, যেগুলো থেকে বিনামূল্যে বিভিন্ন স্কিল শিখতে পারেন।

৪. প্রজেক্ট ব্রাউজ এবং বিড করুন

Truelancer এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, আপনি যেকোনো সময় প্রজেক্টের তালিকা দেখতে পারবেন এবং বিড করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রজেক্টের তালিকায় গিয়ে আপনার পছন্দের প্রজেক্টগুলো নির্বাচন করতে হবে এবং বিড করতে হবে। বিড করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

  • বাজেট বুঝে বিড করুন: প্রথমদিকে আপনার বিড করার সময় এমন একটি পরিমাণ নির্বাচন করুন যা কমপিটিটিভ। আপনার প্রাথমিক সময়ের জন্য কম রেটে কাজ করা স্বাভাবিক, কারণ আপনাকে প্রোফাইল শক্তিশালী করার জন্য কিছু প্রজেক্ট সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
  • কাস্টম প্রপোজাল লিখুন: প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য ক্লায়েন্টকে একটি প্রপোজাল পাঠাতে হয়। প্রপোজালে সুনির্দিষ্টভাবে বলুন আপনি কীভাবে কাজটি করবেন, এবং কীভাবে ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করবেন। চেষ্টা করুন যাতে আপনার প্রপোজালটি ব্যক্তিগতকৃত হয়, এটি ক্লায়েন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।

৫. মোবাইল দিয়ে কাজ পরিচালনা

Truelancer এর বেশিরভাগ কাজ মোবাইল ফোন দিয়েই পরিচালনা করা সম্ভব। যেমন, আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং করেন, তাহলে Google Docs ব্যবহার করে লেখা তৈরি করতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের জন্য Canva-এর মতো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর জন্য Kinemaster বা Inshot এর মতো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাহায্য করতে পারে।

মোবাইল দিয়ে কাজ করার সময় কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে:

  • ইন্টারনেট সংযোগ: নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করুন, কারণ ইন্টারনেট সমস্যা হলে ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগে সমস্যা হতে পারে।
  • টাস্ক ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন: কাজের সময়সূচি, ডেডলাইন এবং টাস্কগুলোর ট্র্যাক রাখতে আপনি Trello, Asana, বা Google Keep এর মতো অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

৬. ক্লায়েন্টদের সাথে পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্লায়েন্টের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল দিয়ে কাজ করার সময় নিশ্চিত করুন যে আপনি সময়মতো ক্লায়েন্টের মেসেজের জবাব দিচ্ছেন এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন করছেন। প্রতিটি প্রজেক্টের পর ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক চাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ এটি ভবিষ্যতে নতুন কাজ পেতে সাহায্য করবে।

৭. পেমেন্ট প্রসেস

Truelancer এর মাধ্যমে কাজ করার পর পেমেন্ট গ্রহণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, পেপাল, পায়োনিয়ার, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আপনিও পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, Truelancer এ কিছু ট্রানজেকশন ফি কাটে, তাই কাজের বাজেট নির্বাচন করার সময় তা বিবেচনা করুন।

মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ

সুবিধা:

  • সহজে কাজ শুরু করার সুযোগ: মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়। মোবাইল অ্যাপ এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি যেকোনো স্থান থেকে কাজ করতে পারবেন।
  • প্রারম্ভিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই: ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে কোনো বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই কাজ করা সম্ভব।
  • অভিজ্ঞতা ছাড়াই কাজ করার সুযোগ: আপনি যদি নতুন হন, Truelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন প্রাথমিক কাজ রয়েছে যা অভিজ্ঞতা ছাড়াই শুরু করা যায়।

চ্যালেঞ্জ:

  • সীমিত স্ক্রিন এবং টুলস: মোবাইল ফোনে কাজ করার ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের তুলনায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। বিশেষত, বড় প্রকল্পগুলির জন্য একটি বড় স্ক্রিন এবং শক্তিশালী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে।
  • ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ: কিছু সময়ে বড় কাজ বা ক্লায়েন্টের সাথে দ্রুত যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে, যা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা কিছুটা সীমাবদ্ধ হতে পারে।

কীভাবে সফল হওয়া সম্ভব?

১. নিয়মিত শিখুন এবং আপডেটেড থাকুন: মোবাইলে কাজ করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ এবং টুল রয়েছে। নতুন স্কিল শিখতে এবং সেগুলো কাজে লাগাতে সর্বদা প্রস্তুত থাকুন। যেমন, ডেটা এন্ট্রি শিখলে পাশাপাশি ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিংও শেখার চেষ্টা করুন।

২. ধৈর্য ধরুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে সময় লাগে। প্রথমদিকে কাজ পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে, কিন্তু নিয়মিত বিড করা এবং কাজের মান বজায় রাখলে ধীরে ধীরে আপনি সফল হবেন।

৩. পেশাদারিত্ব বজায় রাখুন: সময়মতো কাজ জমা দেওয়া, ক্লায়েন্টের সাথে ভালোভাবে যোগাযোগ করা এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করা পেশাদারিত্বের চিহ্ন। এটি আপনাকে ভবিষ্যতে আরও বেশি কাজ পেতে সহায়তা করবে।

উপসংহার

Truelancer এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব। যাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তারাও সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং সময়ের সাথে সাথে দক্ষতা অর্জন করে বড় প্রজেক্টে অংশ নিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে ধৈর্য এবং শিখতে আগ্রহী হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও চেষ্টা থাকলে, আপনি Truelancer এর মাধ্যমে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো আয় করতে পারবেন।

Related posts

মাসে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন Affiliate Marketing এর মাধ্যমে — Ads ProTify ওয়েবসাইট থেকে

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং: মাসে ৩৫ হাজার আয় করুন E-Task ওয়েবসাইট থেকে

১ কাজে = ৳৫৪০ টাকা..!!! ৬২০ টাকা – GPS Freelancer ওয়েবসাইট থেকে